ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বাংলাদেশে যতবার গণতন্ত্র হরণ করা হয়েছে, ততবার লুণ্ঠিত সেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেছে বিএনপি। তবে প্রতিটি ক্ষেত্রে, আমাদের সংগ্রাম ছিল নিয়মতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ। এর কারণ, আওয়ামী লীগের মতো সহিংস বা অগ্নিসন্ত্রাসের রাজনীতি নয়, জনমত গঠন ও গণজোয়ার সৃষ্টিই বিএনপির রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য। দেশের প্রায় সকল গণতন্ত্রকামী মানুষ দ্বারা সমর্থিত, উদার ও সহনশীল রাজনৈতিক ঐতিহ্যের ধারক দল হিসেবে, বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি বিস্তৃত সমাজের প্রতিটি স্তরে ও রাষ্ট্রের প্রতিটি কাঠামোতে।
বাংলাদেশের বিদ্যমান অস্বাভাবিক অচলাবস্থা যদি অব্যাহত থাকে তাহলে তার অনিবার্য পরিণতি ও সম্পূর্ণ দায় আওয়ামী লীগকেই বহন করতে হবে। গণতান্ত্রিক অধিকারকে রুদ্ধ করার এই অশুভ প্রক্রিয়া বাংলাদেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে ঘনীভূত করে তুলবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সংস্কৃতি প্রমাণ করে, এই দলটি কখনোই নিয়মতান্ত্রিকভাবে, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে রাষ্ট্রপরিচালনা করেনি।
২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে, ভোট ডাকাতির অভিনব সব পন্থা অবলম্বন করে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যে কলঙ্কিত ইতিহাস তৈরি করে তারই ধারাবাহিকতায় ডামি প্রার্থী, ডামি দল, ডামি ভোটার ও ডামি পর্যবেক্ষকদের সমন্বয়ে মঞ্চস্থ হয়েছে ২০২৪ সালের ডামি নির্বাচন। গত ১৫ বছর ধরে গণবিদ্বেষী সরকার যে দুর্নীতি-দু:শাসন ও দমন- দুর্বৃত্তায়ন চালিয়েছে, সমাজের প্রতিটি শ্রেণী-পেশার মানুষ তাতে বৈষম্য, অবিচার ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই, আওয়ামী লীগ ও তার সুবিধাভোগী দোসররা আরও একবার জোরপূর্বক ভোটাধিকার হরণ করায়, বাংলাদেশের জনগণ ব্যথিত, মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ। এই জনরোষ আবারও প্রমাণ করেছে, আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুধু গণবিরোধিই নয়, এটি পরিপূর্ণভাবে ব্যর্থ ও অন্তঃসারশূন্য।
এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এসব কথা বলেন।