আওয়ামী লীগ ইতোপূর্বে একদলীয় বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছে। আর আজকে ভিন্ন চেহারাতে ছদ্মবেশ ধারণ করে গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিয়েছে। লক্ষ্য করে দেখুন, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে গিয়ে তারা নির্বাচনকে ধ্বংস করেছে। দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। প্রশাসনকে পুরো দলীয়করণ করেছে। গণতান্ত্রিক এমন কোনো প্রতিষ্ঠান বাকি নেই যে প্রতিষ্ঠানগুলো তারা ধ্বংস করেনি।
এই শেখ হাসিনা সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে বাংলাদেশ তত দ্রুতই রসাতলে যাবে। এই শেখ হাসিনা সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন আমাদের স্বাধীনতা থাকবেন না, আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকবে না, আমাদের অর্থনীতি ধবংস হয়ে যাবে, শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে যাবে।
এখন আমাদের দরকার সবার মধ্যে ঐক্য গড়ে তোলা। সেই ঐক্যের মধ্য দিয়ে আন্দোলনকে বেগবান করা, আরও শক্তিশালী করা এবং রাজপথে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এদেরকে পরাজিত করা।
খালেদা জিয়ার জটিল অসুখ আছে। এ বিষয়টি বারবার শেখ হাসিনা সরকারকে বললেও কোনো কিছু করেনি তারা।
খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবি এখন জাতীয় দাবিতে পরিণত হয়েছে , তার প্রতি যে অন্যায় করা হচ্ছে সেটি চরম অন্যায়। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাকে রাজনীতিকে দূরের রাখতেই এভাবেই আটকে রেখে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া আসা হচ্ছে দেশনেত্রীকে। আমরা বারবারই বলেছি মাল্টি ডিসিপ্লিনারি হাসপাতালে তার চিকিৎসা করা দরকার উন্নত কোনো দেশে নিয়ে গিয়ে। কিন্তু এই শেখ হাসিনা সরকার সেটি দিচ্ছে না।
আওয়ামী লীগের অনেক নেতা তাদের নিজেদের মামলাগুলো তুলে নিয়েছেন। যেমন তুলে নিয়েছেন এই শেখ হাসিনা। আর ম্যাডামের যে মামলাটি সেটি ভুয়াও সাজানো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে। বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের যে আস্থা সেটা উঠে যাচ্ছে। সাধারণত আমরা জানি নিম্ন আদালতে যে মামলার রায় সেটির সাজা কমে আসে কিন্তু আমরা ম্যাডামের ব্যাপারে তার ভিন্ন দেখেছি। উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছেন নিম্ন আদালত থেকে সেটি আরও বাড়িয়ে দিয়েছেন। কেন বাড়ানো হয়েছে? সাজার রায় বাড়ানো হয়েছে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরানোর জন্য।
ম্যাডামকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে, তার চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরাই করব। অন্য কাউকে করার প্রয়োজন নেই। আমরা তার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন প্রবেশ করে যাচ্ছি, করে যাব।
তারা এ বিষয়টি নিয়ে কোনোমতেই গুরুত্ব দিতে চায় না। এই শেখ হাসিনা সরকারপক্ষ বলে, ম্যাডামের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে। কিন্তু না। এখানে তার কোনো চিকিৎসাই হচ্ছে না।