ছাত্রদের কোটা সংস্কারের আন্দোলন যৌক্তিক।
সরকার এ যৌক্তিক সমস্যার সমাধান না করে ক্যাম্পাসে শেখ হাসিনার লালিত-পালিত সন্ত্রাস বাহিনী সহ ছাত্রলীগ নামধারী সন্ত্রাসীদের পাঠিয়ে যে নৈরাজ্যের সৃষ্টি করল এবং শেখ হাসিনার তৈরি করা প্রশাসনিক সন্ত্রাসী পুলিশ বাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করল তার দায় শেখ হাসিনা কে নিতে হবে।
নির্বিচারে ছাত্রদের হত্যা, জ্বালাও পুরাও ভাঙচুর এসব কিছু কার নির্দেশে হচ্ছে তা জনগণের অজানা নয়। ১৯১৭ আন্দোলনের পর জাতি আবার দেখল ২০২৪ এর ছাত্র আন্দোলন। নির্মম হত্যাকান্ড আর রক্তাক্ত বাংলাদেশ।
এ রক্তাক্ত বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকার অধিকার এ শেখ হাসিনা সরকারের আর নেই। আন্দোলনকারীর ছাত্র হত্যার বিচার করতে হবে , গ্রেপ্তার ছাত্রনেতাদের মুক্তি দিতে , মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে সেই সাথে যত দ্রুত সম্ভব স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে হবে। শেখ হাছিনা সরকার আর বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতায় থাকার খোয়াব পূর্ণ হবে না। তাদের মনে রাখতে হবে ছাত্র জনতার রক্তে অর্জিত ইতিহাস ৫২, ৬৯, ৭১ এবং ৯০’র ইতিহাস। ইনশাআল্লাহ ২০২৪’র ইতিহাস হবে রক্তের বিনিময়ে ছাত্র জনতার অধিকার প্রতিষ্ঠার ইতিহাস এবং স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার ইতিহাস।
স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকার- আর কত লাশ দরকার ‘? কি অপরাধ করেছিল শিক্ষার্থী দের। তাদের দাবিতে তাদের অধিকার ছিল।আজ তাদের স্বৈরাচার সরকারের গুলিতে জীবন দিতে হলো।রক্তের বিনিময়ে যদি অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হয় তাহলে শেখ হাসিনা স্বৈরাচার সরকারের পতনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে।
কথাবার্তা পরিষ্কার! দেশবাসী জানতে চায়! কারা হেলমেট পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রকাশ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে? কারা এবং কোন বাহিনীর সদস্যরা রাতের আঁধারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘হল’গুলোতে বিদ্যুৎ বন্ধ করে অভিযান চালিয়েছে? এবং কেন অনির্দিষ্টকালের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হলো?