সুয়েজ আহমদ সুহেলের (৩৫) ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছত্তিশ গ্রামে বাসিন্দা।
জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক হলেও কোনো পদ-পদবি নেই সুয়েজ আহমদ সুহেলের।স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকার মিথ্যা মামলার আসামি বানিয়ে ৯ বছরে তিনটি মামলার দায়ের করেছে তার বিরুদ্ধে। সব কয়টি মামলা মিথ্যা ও বানুয়াট। সুয়েজ আহমদ সুহেলকে ২০১৮ সালের নাশকতা ও সাইবার মামলায় সিলেট কারাগারে সাজা ভোগ করছেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ছোট ছোট দুই সন্তান রয়েছে সুয়েজের,কারাগারে থাকায় দুই সন্তানদের নিয়ে দিশেহারা সুয়েজের স্ত্রী হাবিবা আক্তার। সুয়েজ আহমেদ ফেঞ্চুঞ্জের একজন সুনামধন্য ব্যবসায়ী এবং নাট্য কর্মী। অভিনয়ের পাশা পাশি তিনি একজন লেখক তার লেখা অনেক নাটক ও গান রয়েছে।
সদ্য বিদায়ি আ.লীগ সরকারের আমলে হওয়া নাশকতা ও সাইবার মামলায় দেশব্যাপী বিএনপি- জামায়াতের হাজার হাজার নেতাকর্মী খালাস পেয়েছেন।
জন্য সুয়েজের মামলাগুলো থেকে খালাস চায় তার পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দক্ষিণ ফেঞ্চুগঞ্জ মাইজগাঁও বাজারে সুহেল পিয়াজি সপ নামে একটি খাবারের হোটেল রয়েছে সুয়েজের। বাজারের একই গলিতে তার দোকানের পাশে জামায়াতের কার্যালয়। সুয়েজের হোটেলে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা খাবার খেতে আসতেন। ব্যবসার সুভাদে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী সাথে সাথে জামাত শিবিরের অনেক নেতাকর্মীর সঙ্গে সুয়েজের সুসম্পর্ক হয়ে যায়। ব্যবসার পাশাপাশি সুয়েজ তাদের সঙ্গে গল্প করতেন।
কিন্তু বিগত দিনে কোনো পদ-পদবি না থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন নাশকতা মামলায় আসামি করা হয় সুয়েজকে। ২০২৩ সালের ৭ নভেম্বর ছত্তিশ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সুয়েজকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পরে জামিনে মুক্তি পেলেও শেষ আর রেহাই পায়নাই সুয়েজর।