ছাত্র-জনতা অভ্যুত্থানে সরকার থেকে বিতাড়িত আওয়ামী লীগকে কাল নাগিনী সাপ ও ওঝার সঙ্গে তুলনা করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হক।
তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগের এতো শক্তি ছিল, শেখ হাসিনার পালিত শক্তি, সেই লীগেরা রাতের অন্ধকারে কাল নাগিনী হয়ে সংখ্যালঘুদের ছোবল মারত, হামলা করতো।
আবার দিনের আলোয় ওঝা হয়ে ঝাড়তে আসতো। তারা দেশের মানুষের সঙ্গে এতদিন নাটক করেছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল পৌর উদ্যানে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের উদ্যোগে নৈরাজ্যবাদ বিরোধী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুনুল হক বলেন, আওয়ামী লীগ মোনাফেক শক্তি।
বাংলাদেশে রাজনীতিতে তাদের আর পুনর্বাসিত হতে দেওয়া হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির যে নজির বাংলাদেশের করেছে এটাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
দেশের ৯০ ভাগ মুসলিমদের চেতনা, তাদের ধর্মীয় অনুভূতিতে যদি সম্মান জানাতে না পারেন এদেশে কোনো দিনও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অবস্থান ভালো রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, ২০২১ সালে ভারতের নরেন্দ্র মোদীকে আমন্ত্রণ জানিয়ে মুসলমানদের রক্তের সঙ্গে উপহাস করা হয়েছিল। তখন হেফাজত ইসলামের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে অন্তত ৩০ নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আল্লাহ পাক শেখ হাসিনাকে অপসারণ করে আমাদের প্রাণের বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। দেশে পরাজিত শক্তি বসে নেই। কথিত স্বৈরাচার আবার বাংলাদেশের মানুষের বুকে ছোবল মারার জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। বিভিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে আমরা সোনার বাংলাদেশ পেয়েছি।
আওয়ামী লীগ অন্য দেশের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ৭২ সালে সংবিধান করে ৫০ বছর পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের অধিকার হরণ করেছে বলেও মন্তব্য করেন আল্লামা মামুনুল। তিনি শুক্রবার গোপালগঞ্জের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনতে অন্তর্বর্তী সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
জেলা কওমি ওলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা আব্দুল আজিজের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ ইকবাল, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, পৌর বিএনপির সভাপতি মেহেদী হাসান আলীম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় সুরা সদস্য মুফতি আশরাফুজ্জামান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমাদ ও মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন, জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ এনামুল হাসান প্রমুখ।