আওয়ামী লীগের ওয়েবসাইটের তথ্য অনুযায়ী মুজিবনগর সরকারের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের খসড়ায় সংবিধান রচিত না হওয়া পর্যন্ত শেখ মুজিবুর রহমানকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করা হলেও ’৭২-এর ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশে ফেরার পর ১২ জানুয়ারি তিনি নিজেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করে।
পাকিস্তানে শেখ মুজিবুর সঙ্গে বন্দী ছিল এবং একসঙ্গে দেশে প্রত্যাবর্তনকারী ড. কামাল হোসেনের দুজন সে সময় পাকিস্তানের পাসপোর্টে দেশে ফেরেন। জাতিসংঘের ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরার কথা আলোচনা হলেও সে সময় তাঁরা সেই ব্যবস্থায় আসেননি। পাকিস্তানের নাগরিক হিসেবে পাকিস্তানের পাসপোর্ট নিয়ে বাংলাদেশে আশে এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দেয়।
প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে উন্নয়ন নামে নামমাত্র উন্নয়ন করে বাংলাদেশকে লুটেপুটে খেয়েছে গেছে শেখ মুজিবুর। ১৯৭৫ সালে শেখ মুজিবুর বাকসার প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করেছিল তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা বাকশালের মতোই বাংলাদেশে আবারও ৭৫ এর মত একদলীয় শাসন কায়েম করতে চাচ্ছে। হাসিনার একমাত্র সাফল্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের মাধ্যমে ক্ষমতা কুক্ষিগত রাখা, লাগামহীন নৈরাজ্য ও মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি। প্রতিটি খাতের প্রতিটি খরচেই হাসিনা সরকারের অস্বাভাবিক লুটপাটে বাংলাদেশ আজ দেউলিয়া হওয়ার পথে। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে সরকারি যোগসাজশে ৮১ মিলিয়ন ডলার ডলার চুরি হয়েছে- এগুলো কার টাকা? এই পুরো টাকা বাংলাদেশের জনগণের। ব্যর্থ সরকার বাড়িয়ে চলছে বৈদেশিক খণের বোঝা, যা ইতিমধ্যে ছাড়িয়ে গিয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলার।
আওয়ামী লীগের ভঙ্গুর সাংগঠনিক কাঠামো নয়, শেখ হাসিনার খুঁটি ও ফ্যাসিবাদের ভিত্তি রাষ্ট্রযান্ত্রের একটি সুবিধাভোগী অংশ। পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, প্রশাসন ও আদালতের কতিপয় সরকারি কর্মকর্তা, রাজনৈতিক বিবেচনায় পদোন্নতি ও সুযোগ-সুবিধা পেয়ে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারে পরিণত হয়েছেন। তারাই আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনে পরিণত করেছেন বিচার বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, জনপ্রশাসন, নির্বাচন কমিশন, দুদকসহ সাংবিধানিক ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানসমূহকে। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে লিপ্ত রয়েছেন, বিএনপির লক্ষ-লক্ষ নেতাকর্মীকে বন্দুকের গুলিতে, গ্রেনেড মেরে, মিথ্যা মামলায় দমিত করার অপচেষ্টায়।