1. live@www.skymediabd.com : news online : news online
  2. info@www.skymediabd.com : স্কাই মিডিয়া বিডি :
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন

স্কুলছাত্রকে হত্যার পর ৯ টুকরো

স্কাই মিডিয়া বিডি :
  • Update Time : সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪
  • ১৭৬ Time View

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্র ইমনকে হত্যার পর ৯ টুকরো করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামিকে চট্টগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭।

 

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় র‌্যাব-১১’র সিপিসি-১’র কোম্পানি কমান্ডার মেজর অনাবিল ইমাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান।

 

এর আগে রোববার চট্টগ্রাম মহানগরীর কর্ণফুলী থানাধীন চরলক্ষ্যা এলাকায় র‌্যাব-১১ ও র‌্যাব-৭’র যৌথ অভিযানে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তাররা হলেন- মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আহম্মদ আলী (৬৬) ও সেন্টু মিয়া (৩৬) এবং যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হোসনা বেগম (৫৮)।

 

র‌্যাব প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, ২০১৩ সালের ১৬ জুন স্কুলছাত্র মো. ইমন হোসেন (১৪) তার দাদার সঙ্গে নিজ বাড়িতে ঘরে বসে টেলিভিশন দেখছিলেন। রাত সাড়ে ৮টায় এজাহারে উল্লেখিত আসামিরা ভিকটিমকে কৌশলে ঘর থেকে ডেকে বাইরে নিয়ে যান।

 

 

এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরে আসেনি। ভিকটিমের বাবা পরের দিন থেকে আশপাশের এলাকাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও ভিকটিমকে খুঁজে পায়নি।

 

২০১৩ সালের ২২ জুন ভিকটিমের বাড়ির উত্তর-পশ্চিম পাশে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে ভিকটিম ইমনের ৯ টুকরো গলিত মরদেহ পাওয়া যায়।

 

 

প্রসঙ্গত, আসামিদের সঙ্গে ভিকটিমের পরিবারের পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কলহ চলছিল। ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে ঘটনার আনুমানিক দেড় বছর আগে পারিবারিক কলহের জেরে আসামিদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে লাঠি নিয়ে মারামারি হয়। ওই মারামারিতে মামলার আসামি আহম্মদ আলী আঘাতপ্রাপ্ত হন। এ বিষয়টি সালিশের মাধ্যমে মীমাংসা হলেও আসামিদের ভিকটিমের পরিবারের ওপর আক্রোশ থেকে যায়।

 

 

এ শত্রুতার জেরে আসামিরা ২০১৩ সালের ১৬ জুন ভিকটিম মো. ইমন হোসেনকে কৌশলে বাড়ি থেকে ডেকে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে মরদেহ টুকরা টুকরা করে ধইঞ্চা ও ধান ক্ষেতের মধ্যে লুকিয়ে রাখে। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা লোক মারফত সংবাদ পেয়ে ভিকটিমের মরদেহ শনাক্ত করেন।

 

এ ঘটনায় নিহত ইমনের বাবা বাদী হয়ে নয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত চার-পাঁচজনকে আসামি করে ফতুল্লা থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় ২০২২ সালের ২০ মার্চ নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২য় আদালতের বিচারক বেগম ছাবিনা ইয়াছমিন স্কুলছাত্র শিশু ইমন হত্যা মামলার চারজনের মৃত্যুদণ্ড রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় দুই নারীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও চারজনকে বেকসুর খালাস প্রদান করা হয়।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০  
© All rights reserved © 2024-2025 skymediabd.com